অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘের মহাসচিব কিয়েভ ও মস্কো সফরের আগে আঙ্কারায় বিরতি নিয়েছেন


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে করমর্দন করছেন। তারা তুরস্কের আঙ্কারায় সাক্ষাৎ করেছেন। ২৫ এপ্রিল ২০২২। (প্রেসিডেনশিয়াল প্রেস অফিস/হ্যান্ডআউট, রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে করমর্দন করছেন। তারা তুরস্কের আঙ্কারায় সাক্ষাৎ করেছেন। ২৫ এপ্রিল ২০২২। (প্রেসিডেনশিয়াল প্রেস অফিস/হ্যান্ডআউট, রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)

ইউক্রেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় পরিকল্পিত সফরের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার (২৫ এপ্রিল) আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করেছেন।

গুতেরেস বা এরদোগান কেউই তুরস্কের রাজধানীতে আলোচনার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি, তবে দুজনই বিবৃতি দিয়েছেন। জাতিসংঘ প্রধানের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে সংঘাতের অবসান ঘটাতে তুর্কি প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং প্রশংসা করা হয়েছে। অন্যদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্সি বলেছে যে, তারা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এরদোগান ইউক্রেন ও রাশিয়া, দুই দেশের নেতার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং বিরোধে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালাইসিসের রাশিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন রাশিয়া বিশ্লেষক স্যামুয়েল বেন্ডেট বলেছেন, আঙ্কারা সফলতার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

“তুরস্ক এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় রয়েছে, কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন, উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলছেন। সুতরাং, তুরস্ক এই দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং তাদের জানাশোনাও রয়েছে। উভয় পক্ষই যদি মনে করে যে, তুরস্কের সেই ভূমিকায় এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে, তবে দেশটি অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হতে পারে”, বেন্ডেট বলেছিলেন।

রোববার এরদোগান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।

আলোচনার পর এক বিবৃতিতে এরদোগান বলেন, অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় শহর মারিউপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি মস্কোর সঙ্গে মধ্যস্ততার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সেইসঙ্গে সংঘাতের অবসানে ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবং সাম্প্রতিককালে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর প্রতিনিধিদলের আলোচনার আয়োজন করেছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের একজন সিনিয়র ফেলো আসলি আইদিনতাসবাস বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে আঙ্কারার কায়েমি স্বার্থ রয়েছে।

“সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর উপস্থিতির কারণে তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রাশিয়ার হাতে এবং পূর্ব ও ককেশাসে তার বর্ধিত উপস্থিতিও রয়েছে; যদি তারা ইউক্রেন দখল করে নেয়, তুরস্ক কার্যত রাশিয়ার মাধ্যমে বেষ্টিত হয়ে পড়বে”, আইদিনতাসবাস বলেছেন। “আমি মনে করি যে, তুরস্কের জন্য এই রকম পরিণতি ঐতিহাসিকভাবেই আমরা জানি সুখকর হবে না”।

কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে, পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হওয়ার পর শান্তি প্রচেষ্টায় এরদোগানের ভূমিকা তার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযান বৃদ্ধির মুখে পর্যবেক্ষকেরা বলছেন যে, পুতিন শান্তি প্রচেষ্টায় তেমন কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

XS
SM
MD
LG