শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ঢল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। রোজার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে ঘাট ব্যবহারকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ঈদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা ফেরি বৃদ্ধিসহ ঘাটের সুব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।
ঘরমুখী যাত্রীরা বলছেন, এ বছর ফেরির সংখ্যা কম। ঈদের ২-৩ দিন আগে মানুষের ঢল নামবে। তাই ভোগান্তি এড়াতে আগে ভাগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশিসংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এবং বুধবার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসি টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম বলেন, “ঈদে ঘরমুখী মানুষকে নির্বিঘ্নে পার করতে বিআইডব্লিউটিসি সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। যেহেতু সবাই ঈদে বাড়ি যাবে, তাই চাপ একটু বেশি। আমরা চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে”।