অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফ্রিকার শৃঙ্গে বৃষ্টির অভাবে ২ কোটি মানুষ বিপর্যয়ে


তারিখবিহীন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইথিওপিয়ার সোমালি অঞ্চলের অ্যাডাল ওয়ারেডায় হিগ্লো কেবেলে খরাপীড়িত এলাকায় একজন নারী ব্যারেলে পানি পরিবহনের জন্য একটি গাধার টানা গাড়ি ব্যবহার করছেন৷
তারিখবিহীন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইথিওপিয়ার সোমালি অঞ্চলের অ্যাডাল ওয়ারেডায় হিগ্লো কেবেলে খরাপীড়িত এলাকায় একজন নারী ব্যারেলে পানি পরিবহনের জন্য একটি গাধার টানা গাড়ি ব্যবহার করছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়ায় মানবিক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে। অঞ্চলটিতে ২ কোটির বেশি মানুষের খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রয়োজন। এই অঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলার সময়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সারা চার্লস বর্ণনা করেছেন যে, কীভাবে খরা আফ্রিকান শৃঙ্গে (হর্ন অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকার শৃঙ্গ ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়া নিয়ে গঠিত) লাখ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে৷

“এই অঞ্চলে ঘন ঘন খরার তীব্রতা এবং মানবিক প্রয়োজনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী দিক উন্মোচিত করছে। এই পরিস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। ইতোমধ্যে ১৫ লাখ গবাদি পশু মারা গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফসলের অস্তিত্ব নেই। কেনিয়া এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ইথিওপিয়াসহ কিছু এলাকায়, যৎসামান্য সামগ্রীর জন্য সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। একটি উদ্বেগজনক সংখ্যক শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে এবং আমরা সোমালিয়া থেকে উদ্বেগজনক খবর পেয়েছি যে, অল্পবয়সী মেয়েদের খাবার ও পানির বিনিময়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে”, তিনি বলেন।

জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের জন্য নির্ধারিত কার্যালয় অনুসারে, আফ্রিকান শৃঙ্গের ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ খরায় প্রভাবিত হবেন। এতে বলা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানি, খাদ্য ও চারণভূমির সন্ধানে তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন। শুধুমাত্র সোমালিয়াতেই প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আরও ভয়ঙ্কর খবর হলো, জাতিসংঘের সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, শৃঙ্গের ২০ লাখ শিশু অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

উত্তর ইথিওপিয়ার ক্ষুধার্ত মানুষদের সাহায্য করতে চাওয়া সহায়তা প্রতিষ্ঠানগুলো এই অঞ্চলের অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চার্লস বলেন, সমস্যাটি বিশেষ করে টিগ্রে অঞ্চলে তীব্র।

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিহীনতা খরার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং শৃঙ্গে এর প্রভাব আরও খারাপ হবে।

মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, ভালো বৃষ্টি হলেও জলদি তারা খরাপীড়িত লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারবে না।

XS
SM
MD
LG