অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবাধিকার প্রধানের জিনজিয়াং সফরের প্রস্তুতি নিতে চীনে জাতিসংঘের দল


ফাইল ছবি: জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। ৩ নভেম্বর ২০২১।
ফাইল ছবি: জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। ৩ নভেম্বর ২০২১।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের দীর্ঘ বিলম্বিত জিনজিয়াং সফরকে সামনে রেখে জাতিসংঘের একটি দল চীনে পৌঁছেছে। কিছু মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা ও পশ্চিমা সরকার অভিযোগ করেছে, চীন সরকার উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদেরকে গণহত্যার পাশাপাশি গুরুতর নির্যাতন করছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, মে মাসে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রত্যাশিত সফরের প্রস্তুতি নিতে সোমবার কিছু কর্মী দক্ষিণ চীনে পৌঁছেছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল বলেছেন, পাঁচ সদস্যের আগাম দলটি প্রাথমিকভাবে গুয়াংজুতে অবস্থান করছে। সেখানে তারা কোভিড-১৯ ভ্রমণ নির্দেশিকা মেনে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন।

ব্যাচেলেট মার্চ মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তার অফিস চীন সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যে চুক্তিতে তাকে পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার প্রধান দীর্ঘদিন ধরেই জিনজিয়াং সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। তার অফিস এই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সম্পর্কিত বহু প্রতীক্ষিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কূটনীতিকদের মতে, কয়েক মাস ধরেই প্রস্তুত বা প্রায় প্রস্তুত থাকা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে প্রায় ২০০টি মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা ব্যাচেলেটকে অনুরোধ করেছে।

থ্রোসেল বলেছেন, চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে ব্যাচেলেট প্রয়োজনীয় সুযোগ–সুবিধা পাবেন কি না তা নিশ্চিত করতে চীনে অবস্থান করছে আগাম দলটি।

চীনের বিরুদ্ধে ১০ লাখের বেশি উইঘুর, কাজাখ এবং অন্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষদের পুনশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখা, জোরপূর্বক কাজ করানো, নারীদের গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা এবং বন্দী বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিশুদের আলাদা করে রাখার অভিযোগ তুলেছে কিছু মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা ও গবেষক।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘোষণা করেছে যে, উইঘুরদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের নীতি গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের সমান। ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার আইনসভাও একই ঘোষণা দিয়েছে।

চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলতে থাকায় জিহাদি প্রচারণার মাধ্যমে প্রভাবিত উগ্রবাদীদের প্রতিরোধ করতে এসব নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

XS
SM
MD
LG