এ বছরের গ্রুপ অফ টুয়েন্টির (জি-২০)-এর সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো ইউক্রেনের প্রতি তার দেশের সমর্থনের কথাটি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির পূর্বের বিবৃতিটি সম্পর্কে উইডোডো নিশ্চিত করে কিছু বলেননি যে বিবৃতিতে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে জেলেন্সিকে নভেম্বরে বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার জেলেন্সকি টুইট করে জানান যে তিনি উইডোডোর সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমাকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর প্রশংসা করছি।”
জেলেন্সকির বিবৃতি জাকার্তাকে একটি কঠিন জায়গায় ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে কারণ তারা অর্থনৈতিক ফোরামের সদস্যদের মধ্যকার ফাটলের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্মেলনে জি-৭, ইইউ, রাশিয়া এবং চীন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ান জি-২০ এর সহ-শেরপা দিয়ান ত্রিয়ানশান জানি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, উইডোডোর কার্যালয় তাকে জেলেন্সকির আমন্ত্রণের বিষয়ে জানায়নি। তিনি জানিয়েছেন জাকার্তা চায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ সবাই আসুক।
হোয়াইট হাউজও বলেছে, জেলেন্সকিকে শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে উইডোডোর সরকারের কাছ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
টুইটে জেলেন্সকি ইউক্রেনের “সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিষয়ে সমর্থনের জন্য বিশেষ করে জাতিসংঘে একটি স্পষ্ট অবস্থানের জন্য”ঊইডোডোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে দুটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিল কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে মস্কোকে বহিষ্কারের জন্য জাতিসংঘের অন্যান্য ৫৭ জন সদস্যের সাথে তৃতীয় প্রস্তাবে ভোট দিতে বিরত থাকে।
ভয়েস অফ আমেরিকা ইন্দোনেশিয়ার মাজরিভা এবং ভার্জিনিয়া গ্যনাওয়ান এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।