অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তার ভাইকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণে সম্মত; জানিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতা


শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে চলমান বিক্ষোভস্থলে মাহিন্দা রাজাপাকসের একটি বিকৃত প্রতিকৃতি দেখা যায়।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে চলমান বিক্ষোভস্থলে মাহিন্দা রাজাপাকসের একটি বিকৃত প্রতিকৃতি দেখা যায়।

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট, দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের জন্য, প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তার বড় ভাইকে না রাখতে সম্মত হয়েছেন। একজন বিশিষ্ট আইনপ্রণেতা শুক্রবার একথা জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনপ্রণেতা মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন ও পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্যে একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠন করতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সম্মত হয়েছেন।

শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ইতোমধ্যেই দেশটি ঘোষণা করেছে যে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি উদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা না করা পর্যন্ত তাদের বিদেশী ঋণের অর্থ প্রদান স্থগিত রাখবে। দেশটিকে এই বছর ৭০০ কোটি ডলার এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ২ হাজার ৫শ কোটি ডলার বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে হবে। দেশটির বৈদেশিক রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারেরও কম।

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে এবং তার পরিবার গত ২০ বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে শ্রীলঙ্কার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করেছে। মার্চ মাস থেকে রাস্তায় জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ও তার পরিবারকে তাদের এই সংকটের জন্য দায়ী করছে এবং রাজাপাকসে পরিবারের রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার দাবি করছে।

রাজাপাকসে এর আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছিলেন এবং বিক্ষোভ দমন করার লক্ষ্যে একটি ঐকমত্যের সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো রাজাপাকসের ভাইদের নেতৃত্বাধীন কোন সরকারে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিল।

প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই তাদের অবস্থানে অটল থাকলেও, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার প্রয়াস হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে রাজাপাকসের পরিবারের অন্য তিনজন সদস্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

XS
SM
MD
LG