জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের সফরকালে, কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে, রাশিয়া জাতিসংঘকে অপমান করার চেষ্টা করেছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি অভিযোগ করেছেন। যুদ্ধ পূর্বাঞ্চলে সরে যাওয়ায় রাজধানীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরার সম্ভাবনা এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া, পুরো ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর মধ্যে, কিয়েভের একটি আবাসিক বহুতল ভবন এবং অন্য আরেকটি ভবনেও হামলা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নপুষ্ট সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান, রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি জানায় যে, হামলার শিকার ভবনগুলোর একটিতে বসবাসকারী, ভিরা হাইরিখ নামের তাদের এক সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ধ্বংসস্তুপে তার মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবার তথ্য অনুযায়ী, আক্রমণে দশজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত একজন তার একটি পা হারিয়েছেন।
গুতেরেসকে সাথে নিয়ে জেলেন্সকির এক সংবাদ সম্মেলনের এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যেই কিয়েভে হামলা চালানো হয়। গুতেরেস, তার সফরকালে, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক মানুষজনের উপর হামলার নিন্দা জানান।
রাতের বেলা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেন্সকি বলেন, “ এ হামলা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি রাশিয়ার আসল মনোভাবের বিষয়ে অনেক কিছুই বলে দেয়। এটা করা হয়েছে, জাতিসংঘ ও প্রতিষ্ঠানটি যা কিছুর প্রতিনিধিত্ব করে, সেগুলোকে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের অপদস্থ করার চেষ্টার অংশ হিসেবে।” তিনি আরও বলেন, “তাই, এ ঘটনা একটি পাল্টা তীব্র প্রতিক্রিয়ার দাবি করে।”
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো আক্রমণটিকে, গুতেরেসকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের “মধ্যাঙ্গুলি” প্রদর্শনের সমকক্ষ বলে উপহাস করেছেন।