বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ সাদিয়া ৮ দিন চিকিৎসার পর মারা গেছেন। শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউতে) তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে সাদিয়ার স্বামী আসাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূ সাদিয়া দ্বেবিদ্বার উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের মো. অপুল সরকারের মেয়ে।
গ্রেপ্তার আসাদ সরকার একই উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের নুরু সরকারের ছেলে।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনেছি সাদিয়া মারা গেছে। এই ঘটনা আগের মামলার সঙ্গে পরিবার আরেকটি হত্যা মামলা যোগ করতে পারবে”।
তিনি আরও বলেন, “বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী আসাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেননি। আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে”।
মৃত সাদিয়ার ভাই খাইরুল বলেন, “ডাক্তারেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আমার বোনকে বাঁচাতে পারেনি। আমার বোন মৃত্যুর আগের ভিডিও বার্তায় তার স্বামীকে অভিযুক্ত করেছে”।
খাইরুল জানান, ঘটনার এক দিন পর সাদিয়া ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, “টাকা না দেওয়ায় কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আমার স্বামী। আমি আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আমাকে বাধা দেওয়া হয়”।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল (শনিবার) উপজেলা সদরের বানিয়াপাড়ার ভাড়া বাসায় সাদিয়াকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠে স্বামী আসাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার দুই দিন পর ২৫ এপ্রিল (সোমবার) সাদিয়ার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বুধবার রাতে আসাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।