অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ এখন নেপাল


নেপালের কাঠমান্ডুতে মুদ্রা বিনিময়ের সময়ে এক নারী মোবাইলে কথা বলছেন, ১৫ এপ্রিল ২০২২।
নেপালের কাঠমান্ডুতে মুদ্রা বিনিময়ের সময়ে এক নারী মোবাইলে কথা বলছেন, ১৫ এপ্রিল ২০২২।

বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণে গাড়ি, মদ জাতীয় পানীয় এবং অন্যান্য বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থনৈতিকভাবে জর্জরিত দেশটিতে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানী ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

ভারত ও চীনের মাঝে অবস্থিত হিমালয়ের দেশটি, শ্রীলঙ্কার পর এমন দ্বিতীয় দক্ষিণ এশীয় দেশ যা বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে পড়েছে।

আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে দামি টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন রয়েছে বলে, সরকার এই সপ্তাহে জানিয়েছে। মধ্য জুলাই পর্যন্ত আমদানি নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

জ্বালানী সাশ্রয়ে সরকারী দফতরগুলোতে সাপ্তাহিক কার্যদিবস পাঁচদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। নেপাল জ্বালানী আমদানিকারক একটি দেশ।

শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নারায়ণ প্রসাদ রেগমি বলেন, “দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে এটি একটি স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ।”

নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে যে, দেশটির বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বড় জোর ছয় মাসের আমদানির জন্য যথেষ্ট। ২০২১ সালের মাঝামাঝি তা ১০ মাসের সমপরিমাণ ছিল। ২ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের এই স্থলবেষ্টিত দেশটি আমদানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

সরকার প্রত্যাশা করছে যে, পদক্ষেপগুলো শ্রীলঙ্কার চলমান পরিস্থিতির মত সঙ্কট এড়াতে সাহায্য করবে। শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার চরম সঙ্কটের ফলে সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি, জ্বালানী ও খাদ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা নেপালের বিলাসী পণ্যের আমদানি সাময়িক নিষিদ্ধকরণ এবং সাপ্তাহিক কার্যদিবস হ্রাসকে “মরিয়া পদক্ষেপ” হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন এমন পদক্ষেপ, অর্থনৈতিক সমস্যার মূল কারণগুলোর সমাধান করবে না।


XS
SM
MD
LG