অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফিলিপাইনে সাক্ষীর বয়ান প্রত্যাহারের পর দুতার্তের কড়া সমালোচক বন্দীর মুক্তির দাবি সোচ্চার হয়েছে


ফাইল: ফিলিপাইনের ম্যানিলায় একটি মঞ্চে সিনেটর লেইলা ডি লিমার একটি কার্ডবোর্ড কাটআউট দেখা যাচ্ছে। ২ মার্চ ২০২২। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শীর্ষ সমালোচক ডি লিমাকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানীর একটি কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে।
ফাইল: ফিলিপাইনের ম্যানিলায় একটি মঞ্চে সিনেটর লেইলা ডি লিমার একটি কার্ডবোর্ড কাটআউট দেখা যাচ্ছে। ২ মার্চ ২০২২। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শীর্ষ সমালোচক ডি লিমাকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানীর একটি কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে।

পুলিশ তাকে মিথ্যা বলার জন্য চাপ দিয়েছিল, এই মর্মে বয়ান দিয়ে ফিলিপাইনের সরকারের প্রধান সাক্ষী তার পূর্ববর্তী বিবৃতি প্রত্যাহার করায়, নতুন করে বিরোধী সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কট্টর সমালোচক লেইলা ডি লিমাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি সোচ্চার হচ্ছে।

ডি লিমা ২০১৬ সালে দুতার্তের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের তদন্ত শুরু করার পর পাঁচ বছর ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন৷ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে বানোয়াট বলে বিশ্বাস করে। তিনি ফিলিপাইন পুলিশের একটি হেফাজত কেন্দ্র থেকে আবার নির্বাচনে অংশ নেন৷

২০১৪ সালে ডি লিমা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট তৃতীয় বেনিগনো অ্যাকুইনোর বিচার সচিব ছিলেন। এ সময় তিনি একটি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাতে দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগারে দোষী সাব্যস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের তথ্য উন্মোচিত হয়।

ডি লিমা দুতার্তের বিরুদ্ধে তার মাদক অভিযানের বিষয়ে এবং তার নিজ শহর দাভাও সিটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তদন্ত শুরু করতে গিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের রোষে পড়েন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে দুতার্তে কয়েক দশক ধরে দাভাও সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে আবুধাবিতে গ্রেপ্তার হওয়া স্ব–স্বীকৃত মাদক মাফিয়া কেরউইন এস্পিনোসা অভিযোগ করেন যে, তিনি ডি লিমাকে মাদক চোরাচালানের অর্থ প্রদান করেছিলেন এবং ২০১৬ সালে তার সিনেটর পদে নির্বাচনী প্রচারে ভূমিকা রাখেন।

কিন্তু পাঁচ বছর পর, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রকাশ করা আদালতের নথিতে এস্পিনোসা ডি লিমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন যে, তার কাছে “এই কাহিনি উদ্ভাবন” ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না, কারণ তার ওপর পুলিশের চাপ ছিল।

ডি লিমা বলেন, যারা সরকারের চাপে পড়ে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল, তিনি তাদের ক্ষমা করেছেন এবং তিনি অন্যদেরকে এস্পিনোসার উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডি লিমার মুক্তি চাই

সমালোচকদের মতে অভিযোগ প্রত্যাহার সত্ত্বেও দুতার্তের কার্যালয় জানিয়েছে, এটি ডি লিমার বিরুদ্ধে মুলতুবি থাকা অভিযোগগুলোকে প্রভাবিত করবে না।

ডি লিমা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি মামলায় জয়ী হওয়ার পরেও তার নামে আরও দুটি মাদকের অভিযোগ রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ফিলিপাইনের পরিচালক বুচ ওলানো বলেছেন, ডি লিমা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা ডি লিমাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কা লিওডি ডি গুজম্যান, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সিনেটর ফ্রান্সিস প্যাঙ্গিলিনান, মানবাধিকার আইনজীবী ও সিনেটর প্রার্থী চেল ডিওকনো এবং সিনেটর রিসা হন্টিভেরোস।

XS
SM
MD
LG