অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের খারকিভে সর্বত্র মৃত্যুর প্রতিধ্বনি


ফাইল: ইউক্রেনের খারকিভে আবাসিক এলাকার একটি রাস্তায় রাশিয়ান বোমা হামলায় নিহত একজন ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। ১৯ এপ্রিল ২০২২।

খারকিভের উপকণ্ঠে গেলে উন্মুক্ত মর্গের অনুভূতি হবে। সেখানে মৃতদেহগুলো পড়ে আছে। কেউ তাদের খোঁজ করছে না। কখনো কখনো দেহগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরে পড়ে থাকে, যেহেতু ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনী ভূমি দখলের লড়াইয়ে লিপ্ত।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উভয় পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শহরের বাইরে দেখা যায়, আই-বিম দিয়ে তৈরি ক্রস চিহ্নের মতো একটি অ্যান্টি-ট্যাংক প্রতিরক্ষা বেড়ার ওপর অজ্ঞাতপরিচয় একজন ব্যক্তির পোড়া দেহ ঝুলে আছে। সেখানে মৃত সেনাদের দেহও পড়ে রয়েছে, তারা দৃশ্যত রাশিয়ান। তাদের মধ্যে চারটি দেহ জেড চিহ্নিত রাশিয়ান সাঁজোয়া যানে পড়ে ছিল। রুশ ড্রোনগুলো ক্রমাগত মাথার ওপর দিয়ে উড়ছিল। একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজা খুলতেই ভেতরে পাওয়া গেল তিনটি মৃতদেহ।

সুনির্দিষ্টভাবে এই মৃত্যুগুলোর কোনটি কীভাবে ঘটেছে সম্ভবত কখনোই জানা যাবে না।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমাগত রুশ হামলার মধ্যে রয়েছে।

পরবর্তীতে তাদের পরিচয় জানার জন্য তদন্ত হলে হয়তো পরিবারকে জানানোর চেষ্টা করা হবে।

কিন্তু তাও জট ছাড়ানো কঠিন। ইউক্রেনীয় চিহ্ন সম্বলিত একজন ব্যক্তির মৃতদেহের সঙ্গে একজন রাশিয়ান সেনার পরিচয়পত্র রয়েছে। যে অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ভ্যংকরভাবে গোলাগুলি করা হয়েছিল। তবে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

সর্বত্র গোলাগুলি এবং বিমান হামলা চলছে, প্রত্যেকের জন্য প্রতিটি দিন হুমকিস্বরূপ। মৃত্যু যেকোনো সময় আসতে পারে। কেন এই হত্যা তার জবাব দেওয়ার জন্যও আশেপাশে কেউ থাকবে না।

এটা ছিল যুদ্ধকালে মৃত্যু ও নৃশংসতার বিরল এক ঝলক। পূর্ব ইউক্রেনের উদ্ভূত যুদ্ধের সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া কঠিন, কারণ বিমান হামলা ও গোলন্দাজ বাধা সাংবাদিকদের পক্ষে চলাফেরা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে।

রেডক্রসের মতে, আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতে মৃতদেহকে বিকৃত করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সংবিধির অধীনে “ব্যক্তিগত মর্যাদাহানি কারণে” যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে, যা এলিমেন্টস অফ ক্রাইম অনুসারে মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

XS
SM
MD
LG