মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এক সাধারণ ক্ষমার আদেশ জারি করেছেন। এর ফলে অনেক পরিবারই উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছেন এটা দেখতে যে তাদের প্রিয়জন এই ক্ষমার আওতায় আছেন কিনা। তবে, হাতে রক্তমাখা কাউকে এই ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ বিষয়টিও পরিষ্কার নয় যে, ২০১১ সালের মার্চে আরম্ভ হওয়া তিক্ত এক গৃহযুদ্ধের সময়ে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার সিরিয়ানকে কিভাবে এই সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করবে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমার ঘোষণার পর থেকে, সিরিয়ার এক সুপরিচিত সেতুর কাছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন। সাধারণ ক্ষমার আদেশে তাদের প্রিয়জনকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
আটকদের বেশিরভাগকেই ২০১২ সালে সিরিয়ার সরকারের সন্ত্রাস বিষয়ে জারি করা এক আদেশের অংশ হিসেবে আটক করা হয়েছিল। কোন কোন অপরাধের দায়ে আটক বন্দীরা প্রেসিডেন্টের এই সপ্তাহের ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, সে বিষয়টি সিরিয়ান টিভিকে ব্যাখ্যা করেছেন সহকারী বিচারমন্ত্রী, বিচারক নিজার সাদিকনি।
তিনি বলেন যে, ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন কর্মকাণ্ড যেগুলো দেশের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করেছে, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, বা জনগণের অবকাঠামোর ক্ষতি করেছে। অপরাধগুলো কিভাবে সংঘটিত হয়েছে সেটি বিবেচনা করা হবে না, যদি সেগুলোর কারণে কোন রক্তপাত না হয়ে থাকে (২০১২ সালের সন্ত্রাস আইন অনুযায়ী)।
খাত্তার আবু দিয়াব প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ভিওএ-কে বলেন যে, তার ধারণা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বিদেশে নিজের সরকারের ভাবমূর্তি উন্নত করতে এই ক্ষমার আদেশ জারি করেছেন। ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্রে এক ভিডিও প্রকাশের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঐ ভিডিওতে দেখা যায় যে, ২০১৩ সালে দামেস্কের টাডামন শহরতলীতে বন্দীদের হত্যা করা হচ্ছে।