এই সপ্তাহে গিনির সামরিক সরকার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডে এবং তার প্রাক্তন কর্মকর্তাকে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য বিচার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।গিনি অভ্যুত্থানের নেতা তিন বছরের জন্য বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
২০১০ সালে কন্ডে গিনির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ ওঠে। গত সেপ্টেম্বরে সমালোচকদের অভিহিত অবৈধ তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার পরে কন্ডেকে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়েছিল।
কন্ডে নিজেকে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করেছিলেন। এর ফলে সহিংস বিক্ষোভ এবং পুলিশের দ্বারা মারাত্নক দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটেছিল।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর দ্য ডিফেন্স অফ দ্য কন্সটিটিউশন (এফএনডিসি)-এর দায়ের করা অভিযোগের জবাবে কন্ডে এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো জারি করা হয়েছিল।
ডাকারে ওয়েস্ট আফ্রিকা সিটিজেন থিংক ট্যাংকের পরিচালক গিলস ইয়াবি বলেছেন, যদিও কন্ডের শাসনামলের ওপর আলোকপাত করার প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ, তাদের একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
বিশেষ বাহিনীর সাবেক কমান্ডার গিনির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট কর্নেল মামাদি ডুমবুইয়া তার সময়সীমায় লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। শনিবার তিনি বলেছেন যে, তিনি ৩ বছরেরও বেশি সময়ের একটি অন্তর্বর্তী সময় বিবেচনা করছেন।
২০২২ সালের ৬ মে ইসিওডব্লিউএএস’এর প্রতিরক্ষা নেতারা সাহেলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করছেন। তারা গিনির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।