বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন “গ্লোবাল গেটওয়ে” কৌশল উচ্চমানের অবকাঠামো প্রকল্পে টেকসই সংযোগ বিনিয়োগ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইউরোপ দিবস উপলক্ষে এবং তৎকালীন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট শুম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণে দূতদের লেখা একটি যৌথ নিবন্ধ এ কথা বলা হয়। নিবন্ধ অনুসারে, “যদি ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত করা যায় তবে ইউরোপীয় ব্যবসার মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে”।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। ২৭টি দেশে ৪৫০ মিলিয়ন নাগরিক রয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ফ্রান্স দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাস এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে যৌথভাবে নিবন্ধটি লিখেছেন।
বাণিজ্য ফ্রন্টে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইইউ, যা বার্ষিক প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, “তাদের টিম ইইউ ও ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে বাংলাদেশের সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ কিছু কাজ এবং পরিবেশবান্ধব পরিবর্তনসহ নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে। এটা শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন এবং সুশীল সমাজের সহায়তার মতো ক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহায়তার পরিপূরক”।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, “মানবিক সহায়তার অন্যতম অংশীদার হিসাবে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি অস্থায়ী আবাসন প্রদান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবেন”।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর এই সম্পৃক্ততা এখন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবাধিকার, নিরাপত্তা ও ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে।