ইউক্রেনে তার চালানো আক্রমণের জন্য সোমবার পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া “আমাদের সীমান্তের ঠিক পাশে একেবারে অগ্রহণযোগ্য হুমকির” প্রতিক্রিয়ায় এমন আচরণ করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসী জার্মানীকে পরাজিত করার স্মরণে অনুষ্ঠিত এক সামরিক প্যারেডে বক্তব্য দেন পুতিন। বক্তব্যে তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবিগুলোর কথা বলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারিতে আরম্ভ হওয়া আক্রমণের আগের মাসগুলোতে এমন দাবি জানিয়েছিল রাশিয়া। সে সময়ে তারা বারবার দাবি করে বলেছিল যে, তাদের প্রতিবেশী দেশে আক্রমণের কোন পরিকল্পনা তাদের নেই। তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটোর কর্মকর্তারা একাধিকবার রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে, ইউক্রেন কখনোও নেটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকারের মত রাশিয়ার নির্দিষ্ট কিছু দাবি তারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সোভিয়েত বাহিনীর সাথে ইউক্রেনে বর্তমান রুশ বাহিনীর সাদৃশ্যমূলক তুলনা করেন পুতিন। ইউক্রেনে চালানো আক্রমণকে দেশটিকে “নাৎসীমুক্তকরণ” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন পুতিন। অন্যদিকে, ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা বলছে যে, পুতিন একটি যুক্তিহীন ও অপ্ররোচিত যুদ্ধ আরম্ভ করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধটির কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই, বরং সেটির একমাত্র কারণ হল রাশিয়ার “অসুস্থ সাম্রাজ্যবাদী অভিলাষ”।
“নেটো দেশগুলো রাশিয়াকে আক্রমণ করত না” - পুতিনের ভাষণের পর এক টুইট বার্তায় এমনটা লিখেন পোডোলিয়াক। ঐ টুইটে তিনি আরও লিখেন, “ক্রাইমিয়ায় আক্রমণের কোন পরিকল্পনাই ছিল না ইউক্রেনের। রাশিয়ার সৈন্যরা মারা যাচ্ছে - নিজের দেশকে রক্ষা করতে নয়, বরং অন্য দেশকে দখল করতে গিয়ে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সোমবার তার নিজস্ব বার্তায় বলেন, “আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে আমরাই বিজয়ী হব।”