অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঘূর্ণিঝড় “অশনি” দুর্বল হচ্ছে, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস


পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় “অশনি” উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

মঙ্গলবার (১০ মে) আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ১ হাজার ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এখন পর্যন্ত ঝড়টির গতিপ্রকৃতি যা, তাতে এর বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা কম। কারণ ঘূর্ণিঝড় অশনি এখন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মুখে আছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস

ঘূর্ণিঝড় “অশনি” উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) দেশের তিনটি বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, “মঙ্গলবার খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে”।

এ ছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় অশনির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

XS
SM
MD
LG