জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মলদোভার রাজধানী সফরকালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাজধানী চিসিনাউয়ে মলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গ্যাভরিলিটার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সময় গুতেরেস বলেন, “সমগ্র অঞ্চল এবং বিশ্বজুড়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব অসীম ও সুদূরপ্রসারী। এর পরিসর বৃদ্ধি পেলে তার পরিণতি হবে অচিন্তনীয়”।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, “ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা ও সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং শুধু এই অঞ্চলে নয়, সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে”।
রুশ হামলার কারণে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী তেল এবং সার রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যও বেড়েছে।
ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের প্রতিবেশী এই দেশটির প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে দুই দিনের সফরে মলদোভায় যান গুতেরেস। দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেন এবং তাদের মধ্যে ৯০ হাজার সেখানে রয়ে গেছেন। এই শরণার্থীদের অনেকে মলদোভার বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটির সীমিত সম্পদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মলদোভা একটি ছোট্ট দেশ, কিন্তু দেশটির হৃদয় অনেক বড়”।
এ ছাড়া বৈশ্বিক উদ্বেগ রয়েছে, ইউক্রেনের ক্রেমলিন-সমর্থিত বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়াকে ব্যবহার করে রাশিয়া মলদোভাকে দ্বিতীয় ফ্রন্ট বানাতে পারে।
ট্রান্সনিস্ট্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি আশা করেন, দুই পক্ষেরই নেতাদের সুস্পষ্ট দায়িত্ববোধ রয়েছে এবং তারা জাতির প্রতি যেকোনো হুমকি প্রতিরোধ করবেন।
গুতেরেস বলেন, “গত তিন দশকে আপনাদের অর্জিত সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সুদৃঢ় অগ্রগতির প্রতি কোনো হুমকি প্রদর্শন বা তাকে ক্ষুণ্ণ করা যাবে না”।