আঙ্কারা সিরিয়ায় সেনা বহনকারী রাশিয়ার বেসামরিক এবং সামরিক বিমানের জন্য জুলাই পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতির ওপর চাপ বাড়ছে।
আঙ্কারা এই পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ জানায়নি। আঙ্কারা এবং মস্কো সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে সমর্থন করলেও, সংঘর্ষের সমাধানে তারা সহযোগিতা করছে।
আঙ্কারায় তুর্কি ফরেন পলিসি ইন্সটিটিউটের প্রধান হুসেইন বাগচি বলেছেন, এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেয়া হলো যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে পশ্চিমা মিত্রদের সাথে তুরষ্কের অভিন্ন বিরোধিতা ওয়াশিংটন এবং তার নেটো অংশীদারদের সাথে আঙ্কারার টানাপোড়েন সম্পর্ক মেরামতের ভিত্তি।
বিকল্প থাকলেও তুর্কি আকাশসীমা সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটিগুলোতে সরবরাহকারী রুশ বিমানের জন্য সবচেয়ে সহজ রুট।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, তুরষ্ক রাশিয়ার জ্বালানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হওয়ায় মস্কো আর আঙ্কারার মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে মস্কো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। এছাড়া তুর্কি সীমান্তে লুকিয়ে থাকা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ওপর রুশ বাহিনীর যেকোনো আক্রমণ তুরষ্কে শরণার্থীদের আগমন ঘটাতে পারে।
তবে বিশ্লেষক গাসিমভ বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাত রাশিয়ার প্রভাব অনেকটা হ্রাস করেছে।
মস্কো প্রকাশ্যে আঙ্কারার সমালোচনা করা থেকে বিরত রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকফ গত মাসে তুর্কি-রুশ সম্পর্ককে চমৎকার বলে অভিহিত করেছেন।
যাই হোক, বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, মস্কোর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা আঙ্কারাকে ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার পক্ষে যাওয়া একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে দাবার ঘুঁটি উলটে দেয়ার মতো একটি বিরল সুযোগ এনে দিয়েছে।