অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এখনও চাকরি হয়নি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহীন আলমের, কী বলেছিলেন জেলা প্রশাসক


এখনও চাকরি হয়নি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহীন আলমের, কী বলেছিলেন জেলা প্রশাসক
please wait

No media source currently available

0:00 0:03:17 0:00

জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চাকরির কথা বলা হলেও তা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে সেই চাকরি নিতে অপারগতা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহীন আলম।

এর আগে সোমবার (৯ মে) সকালে সরকারী চাকরির দাবীতে ঝিনাইদহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহীন আলম। চাকরির আশ্বাস দিয়ে সেদিন রাতে ৯টার দিকে তার অনশন ভাঙ্গান জেলার ডিসি সেলিম রেজা।

শাহীন দাবী করেন, জেলা প্রশাসক তাকে সকল তথ্যাদিসহ জেলা প্রশাসককে মাধ্যম করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেইসাথে তাকে এও বলা হয়ে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কোন সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক বেসরকারি পর্যায়ে হলেও তার জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তিনি পরদিন তার সব কাগজ-পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে গেলে তাকে ডাটা এন্ট্রির একটি চাকরির কথা বলা হয় বলে শাহীন ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান। তাকে একেকটি ডাটা এন্ট্রির ২৫ টাকা দেয়া হবে বলে বলা হয়। কাগজের লেখা দেখে দেখে কম্পিউটারে ইনপুট দেয়ার কাজ এই ডাটা এন্ট্রি। যেহেতু তার মত একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়, তাই তিনি এই চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। শাহীন জেলা প্রশাসককে জানান, তিনি শিক্ষক, ট্রেইনার হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী এবং এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা আছে। এধরনের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই বলে জেলা প্রশাসক তাকে ফিরিয়ে দেন।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজী হননি।

জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের বাইরে তিনি আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাকরির আবেদনে সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন শাহীন।

দশ বছর বয়সে টাইফয়েড রোগে শাহীন আলম দৃষ্টিশক্তি হারান। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি আরও জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তিনি সরকারী চাকরির জন্য সাতটি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যার কয়েকটিতে তিনি এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থা চালু না থাকার কারণে তার মত অনেকে আছেন, যাদের চাকরি পাওয়ার বয়সসীমা প্রায় অতিক্রম হওয়ার উপক্রম হলেও, তারা চাকরি পাচ্ছেন না।

চাকরি পেলে প্রথম মাসের বেতন দিয়ে পরিবারের পাশাপাশি দুঃস্থ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরকেও সাহায্য করতে চান তিনি।

XS
SM
MD
LG