অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আটক রুশ সৈন্যের যুদ্ধাপরাধের প্রথম বিচার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন


রাশিয়ার আক্রমণ চলাকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে, ইউক্রেনে আগত ফ্রান্সের ফরেনসিক তদন্তকারী দলের সদস্যদের বুচা শহরের একটি গণকবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, ১২ এপ্রিল ২০২২।
রাশিয়ার আক্রমণ চলাকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে, ইউক্রেনে আগত ফ্রান্সের ফরেনসিক তদন্তকারী দলের সদস্যদের বুচা শহরের একটি গণকবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, ১২ এপ্রিল ২০২২।

ইউক্রেনের সর্বোচ্চ কৌঁসুলি বুধবার রাশিয়ার আটক কোন সৈন্যের প্রথম যুদ্ধাপরাধের বিচারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। ওদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে লড়াই চলছে এবং আক্রমণের শুরুর দিকে দেশটির দখল করে নেওয়া একাংশকে নিজ ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে ক্রেমলিন এখনও বিবেচনার মধ্যে রেখেছে।

প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিকটোভা জানান যে, তার দফতর ২১ বছর বয়সী সার্জেন্ট ভাদিন শাইশিমারিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। যুদ্ধ আরম্ভের চার দিনের মাথায়, ফেব্রুয়ারিতে, বাইসাইকেলে চড়ে যাওয়ার সময়ে ৬২ বছর বয়সী এক নিরস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করে মারার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

শাইশিমারিন একটি ট্যাংক ইউনিটের সদস্য। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চুপাখিভা গ্রামে একটি গাড়ির জানালা দিয়ে ঐ ব্যক্তিকে গুলি করার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভেনেডিকটোভা জানান যে, ঐ সৈনিকের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে বিচার কবে নাগাদ আরম্ভ হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

ভেনেডিকটোভার দফতর জানায় যে, তারা রুশ বাহিনী দ্বারা সংঘটিত ১০,৭০০ টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করছে এবং ৬০০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে সনাক্ত করা হয়েছে।

গত মাসে রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভ দখলের চেষ্টায় হাল ছেড়ে দেওয়ার পর, নৃশংসতার অভিযোগের অনেকগুলোই সামনে উঠে আসে। রুশ বাহিনী রাজধানীর আশপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় এবং বুচার মত শহরের রাস্তাঘাট ও উঠানে মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাসিন্দারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলার খবর জানান।

সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস-এর ভলোদিমির ইয়াভোরস্কি বলেন যে, শাইশিমারিনের বিচার নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে নাকি তা দেখার জন্য ইউক্রেনের এই মানবাধিকার সংস্থাটি বিচারকার্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

তিনি বলেন, “যুদ্ধের সময়ে আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার সকল নিয়মনীতি, প্রথা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখা খুবই কষ্টসাধ্য।”

XS
SM
MD
LG