অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়ায় প্রথম কোভিড-১৯'র সংক্রমণ সনাক্ত


উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পিয়ংইয়ং চিলড্রেনস ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এক কর্মী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ হিসেবে পরিষ্কারের কাজ করছেন, ১৮ মার্চ ২০২২।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পিয়ংইয়ং চিলড্রেনস ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এক কর্মী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ হিসেবে পরিষ্কারের কাজ করছেন, ১৮ মার্চ ২০২২।

উত্তর কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত কোভিড-১৯ এর ওমিক্রণ ধরণ সনাক্ত হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করেছে। দেশটি মহামারীর সবটুকু সময় জুড়ে প্রায় পুরোপুরিভাবেই তাদের সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।

সরকারী কোরিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির তথ্যমতে, রাজধানী পিয়ংইয়ং এর একদল মানুষের থেকে রবিবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জিনক্রম বিশ্লেষণের পর ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, সেটি বিএ.২ ভাইরাসের সাথে মিলে যাচ্ছে । তবে, কয়জনের দেহে কোভিড সংক্রমণ সনাক্ত করা হযেছে তা জানা যায়নি।

এই প্রথমবার উত্তর কোরিয়া কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের বিষয় স্বীকার করল। বৈশ্বিক মহামারীর মাঝে দেশটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং তাদের নিজস্ব কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু করে।

“সবথেকে গুরুতর জরুরি অবস্থার” প্রতিক্রিয়ায় পলিটব্যুরোর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সকল শহর ও কাউন্টিতে লকডাউনের ঘোষণা দেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদন কারখানাগুলোকে বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে, যাতে করে এই “অশুভ ভাইরাসের” বিস্তার পুরোপুরি রোধ করা যায়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, তিনি বলেন, দল এবং সরকার চিকিৎসা সরঞ্জাম বিলি করবে যেগুলো এ ধরণের জরুরি অবস্থার আশঙ্কায় মওজুদ করা হয়েছিল। তিনি স্থলসীমান্ত, সমুদ্রসীমা এবং আকাশপথের প্রতিরক্ষা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া খুব সম্ভবত তাদের দেশের ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের কাউকেই টিকা দেয়নি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও কোন টিকা কার্যক্রমের খবর জানায়নি। জাতিসংঘের কোভ্যাক্স কার্যক্রম এই মাসের শুরুতে নিশ্চিত করে যে, উত্তর কোরিয়ার জন্য বরাদ্দ টিকাগুলো তারা অন্যান্য দেশের জন্য বরাদ্দ করছে, কারণ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও পিয়ংইয়ং সেগুলো নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

XS
SM
MD
LG