ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, “উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম এবং সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবির উপজেলা কমপ্লেক্সের অদূরে একটি বাসায় থাকতেন। সেখানে তিনিসহ দুজন নারী গৃহকর্মীর কাজ করতেন। গত ২৭ মার্চ বেলা ৩টা নাগাদ অপর গৃহকর্মীর মাধ্যমে তাকে মোবাইলে ফোনে ওই বাসায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে গেলে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার সাইদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তাকে সংঘবদ্ধধর্ষণ করে। এরপর ভুক্তভোগী ওই নারীকে ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি ও অর্থের লোভ দেখানো হয়।”
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, “এ ঘটনার পর থেকে তাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। আনসার সদস্যদের মাধ্যমে তাকে পাহারা দেয়া হয়। তবে, আনসার সদস্য মোহাম্মদ সেলিমের মাধ্যমে তার চিকিৎসা বাবদ তিন দফায় ২২ হাজার টাকা পাঠায় ওই দুই কর্মকর্তা।”
পরে কৌশলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়ে নিজের চিকিৎসা করান এবং উপজেলা পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহারকে বিষয়টি অবহিত করেন। তারা ভুক্তভোগীকে ইউএনও মো. সাব্বির রাহমান সানি’র কাছে নিয়ে যান।
এরপর তাদের পরামর্শে বুধবার বিকালে তিনি ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই নারীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ ইবনে আনোয়ার জানান, “ভুক্তভোগী নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”
অন্যদিকে, সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং বর্তমানে রামগড় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।