বাংলাদেশের খুলনা জেলার কয়রায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ মে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন শাখার সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন তার কম্পিউটার চুরিকে কেন্দ্র করে বিচার মীমাংসা শেষে কয়রা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের বড়বাড়ি নামে স্থানে পৌঁছালে ছাত্রদলের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আটজন মিলে মিলনকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ সময় জ্ঞান হারান মিলন। তাকে মৃত ভেবে বস্তাবন্দী করে মোটরসাইকেলে করে তরিকুল ইসলাম ও রাশেদ খান কয়রার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মিলনের জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তরিকুলকে আটক এবং বস্তাবন্দী মিলনকে উদ্ধার করেন।
পরে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এসে তরিকুলকে আটক করে এবং মিলনকে কয়রার জায়গীরমহল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরবর্তীতে রাশেদ খানকেও আটক করে পুলিশ।
ওসি এ বি এম এস দোহা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম মিলনের মা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, গ্রেপ্তার ছাত্রদলের নেতা বিষয়ে ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী বলেন, “তরিকুল দলীয় কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রীয়। ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে”।
এ ছাড়া ছাত্রদলের কয়রা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আরিফ বিল্লাহ সবুজও অনুরূপ কথা বলেছেন।