অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখবে জি-সেভেন


জার্মানীর ওয়াইসেনহাউসার স্ট্র্যান্ডের ওয়াইসেনহাউস দূর্গে জি-সেভেন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা হেঁটে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক (মাঝে), ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবার (বাম থেকে ২য়) সাথে আলাপ করছেন। ১৩ মে ২০২২।
জার্মানীর ওয়াইসেনহাউসার স্ট্র্যান্ডের ওয়াইসেনহাউস দূর্গে জি-সেভেন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা হেঁটে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক (মাঝে), ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবার (বাম থেকে ২য়) সাথে আলাপ করছেন। ১৩ মে ২০২২।

গ্রুপ অফ সেভেন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে শনিবার অঙ্গীকার করেন। একই সাথে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এবং জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যমতে রাশিয়ার “গম যুদ্ধ” মোকাবেলা করতেও অঙ্গীকার করেন তারা।

বল্টিক সাগরের তীরে ওয়াইসেনহাউস এর ৪০০ বছর পুরনো এক দূর্গে বৈঠক করেন ঐ মন্ত্রীরা। সেখানে ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালী, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকরা অংশ নেন। তারা, “যত দিন প্রয়োজন ততদিন” ইউক্রেনে তাদের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।

মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে দাবি করে, পশ্চিমা দেশগুলোকে এজন্য দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এমন দাবিকে মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করে, তা মোকাবেলা করবেন বলেও জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। রাশিয়াকে সহযোগিতা না করতে অথবা তাদের যুদ্ধ যুক্তিসঙ্গত প্রমাণে সহায়তা না করতে চীনের প্রতিও আহ্বান করা হয় বৈঠকে। এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার উপর আরো অধিক চাপ প্রয়োগের প্রধান উপায় হল, রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় নিষিদ্ধ করা বা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে ইইউ সদস্য দেশগুলো আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবে। যদিও, এই পর্যায়ে হাঙ্গেরি এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।

অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা জানান যে, রাশিয়ার অভিজাত শ্রেণির উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান এবং সামরিক বাহিনী, যেগুলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে “তার পছন্দমতো যুদ্ধটি পরিচালনা” করতে সহায়তা করছে।

জার্মানীর উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটিতে ইউক্রেন এবং মলডোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে, খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ এবং ইউক্রেনের যুদ্ধটি পার্শ্ববর্তী মলডোভায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

XS
SM
MD
LG