অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জিরো কোভিড নীতি নিয়ে সর্বস্ব বাজি ধরেছেন


করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের লড়াই সংক্রান্ত এক প্রদর্শনীতে মাস্ক পরিহিত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর একটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি, ২০২১।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি অস্বাভাবিক কঠোর জিরো কোভিড নীতির সাফল্যের ওপর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাজি ধরছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি এই বছর কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পদে অভূতপূর্ব তৃতীয় মেয়াদে পুনর্নিযুক্তির জন্য কাজ করছেন।

যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়ার দেশগুলো পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে বা শিথিল করছে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেনে নিয়ে বসবাস করছে তখন চীন জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিরো কোভিডকে টেকসই নয় বলে অভিহিত করেছে।

২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের বসবাসকৃত চীনের বৃহত্তম শহর এবং একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই- এ করোনা সংক্রমণ বন্ধ করতে কয়েক সপ্তাহ ধরে লকডাউন দেয়া হয়েছিল তবে সম্প্রতি শহরটি ধীরে ধীরে পুনরায় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিরো কোভিড যে কার্যকর তা প্রমাণ করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ২০২২ সালের বাকি সময়টুকু ব্যয় করবেন। সাংহাইয়ের ঘটনা থেকে সম্ভাব্য শিক্ষা নিয়ে কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বেইজিংয়ে কড়া লকডাউন দেননি।

ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ মেডিসিনের নার্সিং ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক উ চিয়া-ই বলেছেন, যদি একজন সংক্রমিত ব্যাক্তিও অবশিষ্ট থেকে যায় তবে জিরো কোভিড ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এশিয়ান মিডিয়া রিপোর্টের অনুমান উদ্ধৃত করে হুয়াং বলেছেন, জিরো কোভিড পলিসি না থাকলে চীনে ১০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তিনি বলেছেন, এই সংখ্যাটি “মানুষকে অনেক ভীত করবে” এবং এটি আরও ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

XS
SM
MD
LG