অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মায়ের জন্যেই মুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বলছেন রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষী সাব্যস্ত পেরারিভালান


মায়ের সঙ্গে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এ জি পেরারিভালান।
মায়ের সঙ্গে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এ জি পেরারিভালান।

রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এ জি পেরারিভালানকে বুধবার মুক্তি দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ বছর জেল খাটার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন তামিলনাড়ুর পেরারিভালান। ১৯৯৮ সালে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। বুধবার মুক্তির কথা শুনে সমস্ত কৃতিত্ব তিনি উজাড় করে দিলেন নিজের মাকে।

তামিলনাড়ুর বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে এদিন পেরারিভালান বলেন, "আজকের সুপ্রিম কোর্টের এই রায় আমার মায়ের তিন দশকের লড়াইয়ের ফল"। সেই সঙ্গে সততাই তাকে আইনি লড়াইয়ে জয় এনে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর পেরারিভালানের মা আরপুথাম আম্মালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও।

এদিন মিডিয়ার সামনে মাকে পাশে নিয়েই দাঁড়িয়েছিলেন পেরারিভালান। তিনি বলেন, "প্রত্যেকেই তো মানুষ। মৃত্যুদণ্ড বা চরম শাস্তি কখনও সমাধান দিতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও একথা অনেকবার বলেছেন। আমি এটাই বিশ্বাস করি।"

তার মা পাশ থেকে বলেন, "চেনা-অচেনা অনেকে আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন, তাদের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।" এরপরই মাকে মিষ্টি খাইয়ে দেন পেরারিভালান। ছেলের মুক্তিতে খুশি তার বাবা কুইলদাসানও।

১৯৯১ সালে যখন রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয় তখন এই এ জি পেরারিভালানের বয়স ছিল ১৯ বছর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। যে এই ষড়যন্ত্রটা করেছে তাকে ৯ ভোল্টের দুটি ব্যাটারি জোগাড় করে দিয়েছিলেন এই পেরারিভালান। সেই ব্যাটারি রাজীব গান্ধীকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে এই এ জি পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল আদালত। এরপর ২০১৪ সালে সেই সাজা লাঘব হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয় তাকে। এরপর চলতি বছরের মার্চে কোর্ট তাকে জামিন দেয়।

যেহেতু গত ৩১ বছর জেল খেটেছে পেরারিভালান, সেই মর্মে গত মার্চ মাসে জামিন মঞ্জুর করা হয় তার। এর আগে ২০১৫ সালে পেরারিভালান ক্ষমাপ্রার্থনা করে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে পিটিশন দিয়েছিলেন। ভারতীয় সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুক্তি দাবি করেছিলেন তিনি। পরে সরকারের কাছ থেকে উত্তর না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

XS
SM
MD
LG