খাদ্য নিরাপত্তায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাপক বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, “আমাদের কথাকে কাজে পরিণত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সীমারেখা নেই”।
বুধবার (১৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সিসিএফের আন্তর্জাতিক কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
“ঝুঁকি ও চরম প্রভাব বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ” বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পদক্ষেপ নেওয়ার সময় বিলম্বিত করা যাবে না”।
সান্ত্বনামূলক প্রতিশ্রুতি, বড় বড় বক্তব্য, আকর্ষণীয় স্লোগান ও উল্লেখযোগ্য কাগজপত্রের উপস্থাপনা সমস্যা প্রশমনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান আবদুল হামিদ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ঐতিহাসিকভাবে উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী, বহুজাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, বিজ্ঞানী, গণমাধ্যম, নীতিনির্ধারক ও সুশীল সমাজ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবন ও জীবিকার ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, “এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী সাড়াদানের দাবি রাখে। পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখন এবং বিলম্বের জন্য কোনো সময় নেই”।
আয়োজকেরা “হাওরে বন্যা ও জীবিকা ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক একটি অধিবেশন রাখায় আবদুল হামিদ তার আনন্দ প্রকাশ করেন।
প্রত্যন্ত হাওর এলাকা মিঠামইনকে তার জন্মস্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ এলাকার বাস্তব অবস্থা ও সমস্যা আমি জানি। এটা খুবই সন্তুষ্টির বিষয় যে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানিরা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন”।
বাংলাদেশে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ তিনি লক্ষ্য করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর সুখকর জীবনযাপনের জন্য একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পানিসম্পদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব প্রশমিত করতে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে”।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মহাসচিব অধ্যাপক ড. পেটেরি তালাস ও এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডগলাস সিমসন।