ইসলামিক স্টেটের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় আফ্রিকান দেশগুলিকে নমনীয় এবং কঠিন উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে উত্সাহিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাস দমনের জন্য আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোকে ১০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা সহায়তা যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত করতে আফ্রিকান নেতৃত্ব এবং কণ্ঠস্বর অনিবার্য।
গত সপ্তাহে, আইসিসকে পরাজিত করার জন্য গ্লোবাল কোয়ালিশনের নিরাপত্তা বিষয়ক নেতারা ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় আফ্রিকান নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৮৫ সদস্য বিশিষ্ট এই জোটটি মালি, বুরকিনা ফাসো, মোজাম্বিক এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে আইসিস-এর সাথে সম্পৃক্ত যোদ্ধাদের সরিয়ে দেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মরক্কোতে এক বৈঠক করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তারা হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে এবং সংঘাতের ফলে লক্ষ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে — সর্বোপরি একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাস দমনের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান উপ-সমন্বয়কারী ক্রিস ল্যান্ডবার্গ বলেছেন, আফ্রিকার কয়েকটি সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের প্রচেষ্টা উন্নত করতে কোটি কোটি ডলার সহায়তা পাবে।
ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের একজন সিনিয়র গবেষক আকিনোলা ওলোজো বলেছেন, আফ্রিকায় আইসিস-এর সহযোগীরা একে অপরের থেকে আলাদা এবং তাদের পরাজিত করার জন্য উপযুক্ত কৌশল প্রয়োজন।
গ্লোবাল কোয়ালিশনের সহকারী বিশেষ দূত ডগ হোয়েট বলেছেন, আইসিসকে পরাজিত করার জন্য জঙ্গিদের বার্তা বিনিময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা গুরুত্বপূর্ণ।
ওলোজো বলেন, আফ্রিকান নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে প্রথাগত সামরিক প্রতিক্রিয়ার বাইরে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে উত্সাহিত করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় আইসিসকে দুর্বল করার জন্য আগেকার শিক্ষা আফ্রিকাতে প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে ফলাফল পেতে মহাদেশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে।