ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বলেছে, তিনি তার সরকারি বাসভবন এবং সরকারি জায়গায় লকডাউন লঙ্ঘন করে সমাবেশের বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন না। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে যে, তারা দেশের করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
মিডিয়া দ্বারা ‘পার্টিগেট’ নামে অভিহিত এই কেলেঙ্কারি জনসনের নেতৃত্বের উপরে বেশ বড় আঘাত করেছে।
জানা গেছে, লকডাউনের সময় জনসন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার কর্মীদের আয়োজিত “ওয়াইন টাইম ফ্রাইডে” উপভোগ করাসহ আরও আনন্দ করার জন্য সরকারি বাসভবনে জড়ো হয়েছিলেন। দেশের লাখ লাখ মানুষ যখন কোভিড সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধে আটকে ছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর এমন কাজে ভোটাররা ক্ষুব্ধ হন এবং জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
পুলিশের তদন্ত সমাপ্ত হওয়ার মানে হলো একজন ঊর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মকর্তা স্যু গ্রে-র পৃথক তদন্তের ফলাফল এখন প্রকাশ করা যেতে পারে।
জনসন বারবার ক্ষমা চেয়েছেন। তবে জেনে শুনে নিয়ম ভঙ্গ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তার অফিসে ১০ মিনিটের কম সময়ের জন্য সমবেত হওয়াকে তার কাছে পার্টি বলে “মনে হয়নি”।
বিরোধী দলগুলো জনসনকে পদত্যাগ করার জন্য তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বলেছে যে, গ্রে-র প্রতিবেদনটি বিলম্ব না করে প্রকাশ করা উচিত।
ব্রিটেনে ১ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড পজিটিভ হয়ে মারা গেছে যা রাশিয়ার পরে ইউরোপে সর্বোচ্চ।