কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবেলায় উত্তর কোরিয়া “ভাল ফলাফল” লাভ করছে বলে দেশটি শুক্রবার জানিয়েছে। দেশটি এবারই প্রথম সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছে যখন উত্তর কোরিয়ায় জ্বরের উপসর্গ সম্বলিত রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে প্রথমবারের মত কোভিড সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করে। কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়, বিচ্ছিন্ন এই দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও টিকার স্বল্পতার বিষয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য দেশটির উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের শত্রু, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সহায়তার প্রস্তাবে তারা কোন সাড়া দেয়নি বলে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সফরে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া এসে পৌঁছান। তার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল’এর মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তার বিষয়ে আলোচনার আশা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া আরও অতিরিক্ত ২,৬৩,৩৭০ জনের জ্বরের উপসর্গ থাকার খবর জানিয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত আরও দুইজনের মৃত্যুর খবরও জানানো হয়। এর ফলে, এপ্রিলের শেষ দিক থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বরের রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪০ হাজারে গিয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এসব তথ্য জানায়।
উত্তর কোরিয়ায় কোভিড টেস্ট কিটের স্বল্পতা রয়েছে। তাছাড়া দেশটি এও জানায়নি যে, জ্বরের রোগীদের কতজনের কোভিড সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক রোগী সত্ত্বেও, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে যে, কৃষিকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং কারখানাগুলোতেও কাজ চলছে। এক অবসরপ্রাপ্ত প্রয়াত জেনারেলের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের পরিকল্পনাও করছে দেশটি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা, উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য কোভিডের “ধ্বংসাত্মক” পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, লাগামহীনভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ধরণের নতুন প্রকরণ এর উদ্ভব ঘটতে পারে।