রাশিয়ার আক্রমণ আরম্ভের আগে, ইউক্রেনের সাংবাদিক দ্যমিত্রি রেপলইয়ানচুক দুর্নীতি, বিশেষ করে বিচারক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্নীতির তথ্য প্রায়ই উদঘাটন করতেন।
বর্তমানে কিয়েভভিত্তিক এই সাংবাদিক যুদ্ধাপরাধ এবং নৃশংসতার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দক্ষতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি স্লিডস্টভো.ইনফো নামের এক স্বাধীন গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করেন।
রেপলইয়ানচুক ভিওএ-কে বলেন, প্রতিটি অপরাধের একটি চেহারা রয়েছে।
তিনি বলেন, “বুচায় বেসামরিক মানুষজনকে হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী, মারিউপোলে ও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে বোমাবর্ষণকারী বিমানচালক, খারকিভে গোলাবর্ষণকারী গোলন্দাজবাহিনী : তারা সকলেই নির্দিষ্ট কোন একজন মানুষ। আমার কাজ হল তাদের পরিচয় উন্মোচন করা।”
এই সপ্তাহে রাশিয়ার কোন সৈন্য প্রথমবারের মত যুদ্ধাপরাধের বিচারের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের অবরুদ্ধ বা দখল হওয়া শহরগুলোর বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিকরা । ইউক্রেনের গণমাধ্যম প্রমাণ লিপিবদ্ধ এবং সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করেছে।
তাদের প্রচেষ্টার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিৎজার পরিষদ মে মাসে ইউক্রেনের সাংবাদিকদেরকে তাদের “সাহসিকতা, সহনশীলতা, এবং সত্য সংবাদ সংগ্রহের প্রতি অঙ্গীকারের” জন্য এক বিশেষ মানপত্রে ভূষিত করে।
তবে দেশটির সাংবাদিকদের একটাই উদ্দেশ্য রয়েছে: এটা নিশ্চিত করা যে ইউক্রেনে নৃশংসতায় জড়িত সকলের পরিচয় যাতে পুরো বিশ্ব জানতে পারে।
রেপলইয়ানচুকের সংস্থাটি অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং নেটওয়ার্কের অংশ। তারা উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালিয়ে থাকেন।
রাশিয়ার কিছু কিছু তুলনামূলক কম বয়সী সৈন্য সক্রিয় টিকটক ব্যবহারকারী। রেপলইয়ানচুক জানান যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৈন্যরা বেসামরিক মানুষের উপর অত্যাচারের কথা গর্বের সাথে প্রচার করেছে।
রেপলইয়ানচুক বলেন, “কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের কোন প্রয়োজন নেই। তারা নিজেরাই সেগুলো প্রকাশ করে দেয়। তারা এগুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বড়াই করে বেড়ায়।”