পাকিস্তানে দুর্নীতি বিরোধী কর্তৃপক্ষ পাঁচ দশক আগের জমি দখলের অভিযোগে শনিবার একজন বিরোধী নারী নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচকরা এই পদক্ষেপের দ্রুত নিন্দা করেছেন৷
প্রাক্তন মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একজন শক্তিশালী সোচ্চার সমালোচক। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ অনুসারে রাজধানী ইসলামাবাদে তার বাসভবনের কাছে তাকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা পুলিশ অভিযোগ অনুসারে, মাজারি ১৯৭২ সালে যখন তার বয়স ছয় বছর ছিল, তখন তার পরিবারের কথিত একটি অপরাধের জন্য এখন তিনি তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
বিরোধী নেতৃত্বাধীন সংসদীয় অনাস্থা ভোটে এপ্রিলের শুরুতে ইমরান খানের প্রায় চার বছরের পুরনো সরকারের পতন ঘটানো অবধি তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার পরই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শেহবাজ শরীফ খান নতুন ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মাজারির গ্রেপ্তারের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ মানবাধিকার কমিশন টুইটারে বলেছে,তার গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নিপীড়নের স্মারক, যা দুঃখজনকভাবে একটি আবদ্ধ অভ্যাস হয়ে উঠেছে এবং যে দলই অপরাধী হোক না কেন তা নিন্দনীয়। তারা মাজারিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁকে টানা-হ্যাঁচড়া করারও নিন্দা করেন।
অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে এই অধিকার পর্যবেক্ষণ গ্রুপ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও টুইটারে শরীফ সরকারের নিন্দা জানিয়ে বলেন যে মাজারিকে "এই ফ্যাসিবাদী শাসন দ্বারা তার বাড়ির বাইরে থেকে মাজারিকে সহিংসভাবে অপহরণ করা হয়েছে।"
খান শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন এবং ক্ষমতাসীন জোটকে "আমদানি করা সরকার" বলে নিন্দা করেন।