বাংলাদেশের সিলেটে জেলার কোম্পানীগঞ্জে শনিবার (২১ মে) দুপুরে, ত্রাণ বিতরণ করতে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি স্থানীয় থানা বাজারে ত্রাণ বিতরণ শেষে ফিরে আসেন। এরপর ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত বন্যার্ত লোকজনের মধ্যে কাড়াকাড়ির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৫০ হাজার লোক পানিবন্দী। মন্ত্রী যে ত্রাণ নিয়ে এসেছেন, সেটি ছিল অপ্রতুল। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর, ত্রাণ নিয়ে মানুষজনের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, মন্ত্রী শনিবার দুপুরে থানা বাজার এলাকায় ৩০ জন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। তখন ওখানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কয়েকশ’মানুষ। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়নে ১৩০টি ত্রাণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়। বাকিরা ত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করলে, সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “আমরা যতই ত্রাণ দেই না কেন, তারপরও কম পড়বে। আমরা কোনো ইউনিয়নে ১০০ মণ চাল দিলে, ১০০ জন পাবে, যদি ২০০ জন চলে আসে, তাহলে অর্ধেক করে সেটা দেয়া যায়, যদি খোলা চাল ও গম থাকে। কিন্তু প্যাকেট করা খাবার তো ভাগ করা যায় না। তাই যারা আগে থেকে তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদেরকে দেয়া হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি নির্দিষ্টভাবে দেখাতে পারে যে তালিকায় অনিয়ম হয়েছে, আমি কঠিন ব্যবস্থা নেব। আগে এরকম হয়েছে, কিন্তু এখন এই অপবাদ আমি মাথায় নেবো না। যেহেতু ত্রাণ পায় নাই, তাই গণ্ডগোল করেছে, এটা ফেয়ার গণ্ডগোল না, আনফেয়ার গণ্ডগোল।”ইমরান আহমদ বলেন, “সরকার যতই দিক না কেন, এরকম হবে। আর, এর মধ্যেই কিন্তু মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে এখন পাননি, অবশ্যই আপনি পরবর্তীতে পাবেন। আলটিমেটলি সবার কাছেই যাবে; কেউই বাদ পড়বে না।”