মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ক্রাইটেরিয়া মেনে চললে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “মাদক বিস্তার রোধে মদের বিষয়ে সরকার নমনীয়-এ ব্যাপারে বলতে গেলে আমি বলব, এখানে একটা হলো সফট ড্রাগস, আরেকটি হলো হার্ড ড্রাগস। সফট ড্রাগস সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের এখানেও লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে, কয়েকটি হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবকে লাইসেন্স দিয়েছি। তারা শর্ত মেনে চলছে … যারা শর্ত মানছে বা মেনে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে”।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আওতা বাড়বে কি না এটা নির্ভর করে তারা আমাদের নিয়ম কানুন কতটা মেনে চলতে পারছে বা পারবে। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারাই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে পারবে, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া আছে, যখন সেগুলো ফুলফিল করতে পারবে তখন তারা লাইসেন্স পাবে”।
সুরা নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, “আইন যখনই প্রয়োজন হয় তখনই সেটা ব্যবহার করা হয়। এখন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি আইন রয়েছে, সেখানে প্রয়োজনে আমরা ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এখনই আমরা মনে করছি না, সেটার প্রয়োজন হচ্ছে”।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, “দেখুন এগুলো হলো রাজনৈতিক কৌশল, অনেকে এ ধরনের প্রচারণা করেন। এগুলো প্রচারণার জন্যই তারা বলে থাকেন। এগুলোর অনেক কিছুর মধ্যেই সত্যতা নেই”।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল সংঘর্ষের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা একটি স্বাধীন দেশ। এখানে বহুদলীয় রাজনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত। এখানে রাজনীতির অঙ্গন সবসময়ই উন্মুক্ত। কিন্তু যারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভাঙচুর করে, জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ায় মানে যান চলাচল বন্ধ করে কিংবা মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা করেন, মালপত্র বা জানমালকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেন, তখনই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করে”।