মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে যাওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলে শনিবারের ঐ দূর্ঘটনায় ৩৫ জন প্রাণে রক্ষা পান এবং ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসি আর এই দূর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে নিহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে যায় এবং দুই দিন পরে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলে আইয়াওয়ার্দি অঞ্চলে প্রতিকুল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয় এবং ডুবে যায়।
মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘুরা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের একটি বিদ্রেহী গোষ্ঠীর আক্রমণের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী দমনের লক্ষ্যে নৃশংস অভিযান চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মিয়ানমারে এক লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়ে গেছে যারা বাস্তুহারা অবস্থায় নোংরা শিবিরগুলিতে বাস করছে যেমন বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা জনাকীর্ণ শরনার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছে।
উভয় দেশের শিবিরগুলি থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা আরও উন্নত জীবন যাপনের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরষ্ঠি দেশ মালায়েশিয়ায় এবং ইন্দোনেশিয়ায় যাবার চেষ্টা করে।
ইউএনএইচসিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি প্রায় ৬৩০ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সমুদ্র যাত্রার চেষ্টা করেছে আর এই পালিয়ে যাওয়ার যারা চেষ্টা করছে তাদের ৬০% হচ্ছে নারী ও শিশু।