অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট চীনপন্থী ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই


জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যদি একটি নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু হয় এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই আফ্রিকান দেশগুলিকে তাদের পাশে নেওয়ার চেষ্টা করে, তবে এটি পরিষ্কার বলা যাবে যে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়ার আনুগত্য কার প্রতি ।

স্থানীয় সানডে মেইল পত্রিকায় তার সর্বসাম্প্রতিক কলামে, ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পশ্চিমের নিন্দা করেছেন এবং বেইজিংয়ের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন।

তিনি সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, "পশ্চিমা স্বার্থ যা আমাদের মহাদেশকে তাদের আনুষ্ঠানিক দখলের আগে থেকেই শোষণ করে আসছে," তার বিপরীতে চীনারা "এখন মহাদেশে ফিরে এসেছে তারা নতুন, অপ্রথাগত বিনিয়োগকারী হিসাবে মুক্ত করতে সাহায্য করেছে,"।

প্রেসিডেন্ট বলেন, "চীন এখানে জিম্বাবুয়েতে, জ্বালানি শক্তি, বিমান পরিবহন, জল, রিয়েল এস্টেট, শিল্প মূল্য সংযোজন, খনি এবং প্রতিরক্ষা খাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। অর্থনীতির কাঠামো পরিবর্তন করার সময় চীনের এই সাহায্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার এই মরসুমে আমাদের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত এবং শক্তিশালী করেছে।"

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুই দশক ধরে জিম্বাবুয়ের ব্যক্তি এবং কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে, যেহেতু ২০০০ এর দশকের শুরুতে দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে নির্বাচনী কারচুপি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন যানু-পিএফ পার্টির বিক্ষোভ এবং বিরোধী ব্যক্তিদের অব্যাহত দমনের দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমা দেশগুলি নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণের আহ্বানকে প্রতিহত করেছে।

বেইজিং পশ্চিমা শক্তির রেখে যাওয়া শূন্যতা কাজে লাগিয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কারের উপর নির্ভরশীল নয় এমন উদার ঋণ প্রদান করে দেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী হয়েছে। তাছাড়াও তারা এই লিথিয়াম সমৃদ্ধ দেশের খনিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে এবং দেশের বিশাল নতুন সংসদ ভবনে অর্থায়ন করছে।

যদিও ওয়াশিংটন বলেছে যে তারা আফ্রিকায় চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় নেই। যেগুলিকে প্রায়শই চীনের "ঋণ ফাঁদ" বলে অভিহিত হয় সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা সরকারকে সতর্ক করেছেন । ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের যুদ্ধে তার অবস্থানের প্রতি সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে, যা কিনা জিম্বাবুয়ে সহ সে মহাদেশের অনেক সরকার অপছন্দ করছে।

XS
SM
MD
LG