ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে বলেন যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া “নিশ্চিতভাবেই গণহত্যার নীতি” অবলম্বন করছে, তবে ইউক্রেনের এই “বিপর্যয়কর পরিস্থিতি” এড়ানো যেত “যদি বিশ্বের শক্তিধরেরা রাশিয়ার সাথে খেলা না করে যুদ্ধ শেষ করতে আসলেই চাপ প্রয়োগ করত।”
জেলেন্সকি বলেন, রাশিয়া “জ্বালানী সরবরাহের জন্য ইউরোপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি ইউরো পায়”, যখন কিনা “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ষষ্ঠ দফায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একমত হওয়ার চেষ্টা করছে।”
তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, “ইউক্রেন সবসময়ই এক স্বাধীন দেশ থাকবে এবং খন্ডিত হবে না।” তিনি আরও বলেন, একমাত্র যে প্রশ্নটি বাকি থাকে তা হল, “আমাদের মানুষজনকে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য কি মূল্য পরিশোধ করতে হবে” এবং রাশিয়া “আমাদের বিরুদ্ধে এই অনর্থক যুদ্ধের জন্য” কি মূল্য পরিশোধ করবে।
এদিকে, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, সীমান্ত পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়া রুশ বাহিনী, বৃহস্পতিবার নতুন করে এক পাল্টা হামলা আরম্ভ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোন কোন পশ্চিমা কর্মকর্তার মতে, তিন মাস ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধ এমন এক “মারামারিতে” পরিণত হয়েছে যার কোন শেষ দেখা যাচ্ছে না।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ এর কর্তৃপক্ষ জানায় যে, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে অন্তত সাতজন বেসামরিক মানুষ নিহত ও আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। শহরটির উত্তর এবং পূর্ব দিকে প্রবল লড়াই চলছে।
খারকিভে অবস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, সেখানে বারবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রুশ বাহিনী শহরের উত্তরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে।