বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার (২৯ মে) প্রতি ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর ফলে, ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান আরও এক টাকা ১০ পয়সা কমেছে।বৈদশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে, বিল অব কালেকশন (বিসি) বা আমদানির ক্ষেত্রে এ হার ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর সপ্তম বারের মতো টাকার অবমূল্যায়নের ঘোষণা দিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক ডলার বিনিময়ের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড রেট নির্ধারণ করেছে। এর ভিত্তিতে, অন্যান্য উদ্দেশ্যে বিনিময় হার শূন্য দশমিক ০৫ টাকা থেকে শূন্য দশমিক ১৫ টাকা অতিরিক্ত নির্ধারণ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, “বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ব্যাংকগুলোর সিইও ও এমডিদের সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রবিবার ডলারের এ অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে।
সোমবার (৩০ মে) থেকে এ নতুন বিনিময় হার কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে যোগ দেয়া অনেক ব্যাংকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, যা প্রকৃত পক্ষে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের জন্য ভালো নয়।
ব্যাংকাররা বলেন, ‘বাস্তবতা স্বীকার না করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও ডলারের দাম ৯০ টাকার নিচে রাখতে চায়। যদিও, বাস্তবে ডলার ৯৫ টাকা করে বিনিময় হচ্ছে।’
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বৈদশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে, ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরহারের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও ডলারের অস্থিতিশীল হারের কারণে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সব সরকরি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।ডলারের চাহিদা কমাতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ আমদানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে ৩০ শতাংশের বেশি অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করেছে।