উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রবিবার এক বৈঠকে দেশটির কঠোর মহামারী প্রতিরোধী বিধিনিষেধগুলো পুনর্বিবেচনার বিষয়ে আলোচনা করেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। দেশটি ব্যাপক বিতর্কিতভাবে দাবি করে আসছে যে তাদের দেশের প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কমে আসছে।
উত্তর কোরিয়ার পলিটব্যুরোর ঐ বৈঠকে হওয়া আলোচনায় মনে হয়েছে যে খাদ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে তারা শীঘ্রই তাদের দেশে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধগুলো শিথিল করবে। এর আগে এই মাসেই তারা তাদের দেশে ওমিক্রণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে।
সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায় যে, কিম ও পলিটব্যুরোর অন্যান্য সদস্যরা “দেশ জুড়ে মহামারী পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও উন্নতি নিয়ে ইতিবাচক মূল্যায়ন দেয়।”
রবিবার উত্তর কোরিয়া জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ৮৯,৫০০ জন নতুন রোগীর খবর জানায়। এর ফলে দেশটিতে মোট রোগীর সংখ্যা ৩৪ লক্ষে গিয়ে দাঁড়ালো। আর অতিরিক্ত কোন মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানানো হয়নি। দেশটির সর্বশেষ মৃত্যুর খবর জানানো হয় শুক্রবার, যখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৯। এর ফলে দেশটিতে মৃত্যুর হার ০.০০২%। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এত কম মৃত্যু হার আর কোন দেশেই পাওয়া যায়নি, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও না।
বাইরের অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলছেন যে, পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে উত্তর কোরিয়া তাদের মৃত্যুর হার কমিয়ে বলছে, যাতে করে নিজ দেশে কিম রাজনৈতিকভাবে দুর্বল না হয়ে পড়েন। তারা বলছেন যে, উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুর হার আরও অনেক বেশি হওয়ার কথা ছিল, কারণ তাদের ২ কোটি ৬০ লক্ষ জনসংখ্যার বেশিরভাগেরই কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়া নেই। এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতাও দেশটির কম। অন্যান্যরা সন্দেহ করছেন যে, উত্তর কোরিয়া হয়ত আগের জ্বরের রোগীদের সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছিল, যাতে করে দেশের অভ্যন্তরে মানুষজনকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।