আন্তর্জাতিক মিডিয়া পর্যবেক্ষকরা মঙ্গলবার দাবি করেছে যে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা দুই সাংবাদিকের কথিত নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার যেন অবিলম্বে তদন্ত করে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনে।
আত্মীয় ও সহকর্মীদের মতে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আলি আকবর খায়রখওয়া এবং জামালুদ্দিন দেলদারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
খায়েরখওয়া, একজন ফটো সাংবাদিক এবং স্থানীয় সুব-হে-কাবুল পত্রিকার প্রতিবেদক। সকালে তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার জন্য রাজধানীর কোট সাঙ্গি এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে তার মা ও ভাই জানান যে, এর পর থেকে তার আর কোন খবর তাঁরা পাননি। খায়েরখওয়ার পরিবার, সাংবাদিক অপহরণে তালিবানের ভূমিকা সন্দেহ করে তালিবান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তারা জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে ভয়েস অফ গার্দিজ রেডিওর প্রধান ছিলেন দেলদার। তাঁর পরিবার এবং তাঁর সিনিয়র সহকর্মীরা তাকে গ্রেফতার করার জন্য তালিবানকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছে কিন্তু তাঁকে গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে তাঁরা অবগত নন।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট (আইএফজে) তালিবানকে অবিলম্বে দুই সাংবাদিকের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে।
আইএফজে অনুসারে আগস্ট থেকে আনুমানিক ১০০০ সাংবাদিক আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গেছেন এবং তার ফলে হুমকি, কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক পতনের ফলে স্থানীয় মিডিয়া আউটলেটগুলি ব্যাপকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই নজরদারি সংস্থাটি তাদের সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ১২টি হত্যা এবং ৩০টি গ্রেপ্তার সহ সংবাদ মাধ্যমের ৭৫টি অধিকার লঙ্ঘন নথিভুক্ত করেছে।
গত সপ্তাহে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) একটি বিবৃতিতে নিখোঁজ হওয়া এবং হয়রানির অন্যান্য ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে তালিবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানে সাংবাদিকদের বিপদ ও নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।