চীনের বৃহত্তম শহর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাইয়ের বাসিন্দারা ২ মাস ধরে নিজ নিজ বাড়িতে আটকে থাকার পর বুধবার লকডাউন তুলে নেয়া হয়।
চীনা এই শহরের ২ কোটি ৫০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অনেকেই প্রথম পূর্ণ কর্মদিবসে অফিস থেকে ফেরার সময় বাস এবং কমিউটার ট্রেনে ভিড় করেছিল। এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো দোকানগুলোতে ভিড় করেছিল, অন্যরা তাজা হাওয়ায় শ্বাস নেয়ার জন্য জগিং বা হাঁটাহাঁটি করছিল। তবে চীনের বৃহত্তম শহরটি এখনো কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। শপিং মল এবং অন্যান্য আউটলেটগুলো ধীরে ধীরে তাদের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পুনরায় খোলা হয়, সিনেমা থিয়েটার এবং জিম এখনো বন্ধ ।
সাংহাই কোভিডের নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব রোধ করতে কঠোর লকডাউন আরোপ করেছিল। লকডাউনে তাজা খাবার আর ওষুধের অভাবে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। সেইসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, বাসিন্দারা তাদের উঁচু এপার্ট্মেন্টের খোলা জানালা থেকে একজোট হয়ে চিৎকার করছে।
বেইজিং তার “জিরো কোভিড” নীতিতে দ্বিগুণ হারে কঠোর হওয়ায় এই লকডাউন চীনের অর্থনৈতিক কেন্দ্রে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকেও স্থবির করে দিয়েছে।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।