ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বেড়ে যাওয়া খাদ্য সংকট কিছুটা কমতে দেখা যেতে পারে বলে বুধবার এক বক্তৃতায় জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, তবে কোনও অগ্রগতি আসন্ন নয় এবং এখনও কিছু সময় লাগতে পারে।
যুদ্ধের এলাকা থেকে শস্য ও সার সরবরাহে কার্যত বাধা সৃষ্টি করেছে এই যুদ্ধ । রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বব্যাপী গম সরবরাহের এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে এবং রাশিয়া সারের একটি প্রধান বৈশ্বিক উৎস।
গুতেরেস "রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্বৃত্ত এবং মজুদ বরাদ্দ করা এবং বাজারের অস্থিরতা প্রশমনে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি মোকাবেলা করা" সহ "খাদ্য ও জ্বালানীর একটি অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে, দ্রুত এবং চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার" আহ্বান জানিয়েছেন।
স্টকহোমে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, "আমি মনে করি, কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু আমরা এখনও আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি"।
উভয় দেশ থেকে রপ্তানি পুনরায় শুরু করার প্রয়াসে গুতেরেস এই বছরের শুরুতে মস্কো এবং কিয়েভ ভ্রমণ করেছিলেন।
সরবরাহে বাধার জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলিকে দায়ী করেছে মস্কো এবং বলেছে, নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করা হলে, রাশিয়া ইউক্রেনের গম এবং রাশিয়ার সারকে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে যেতে দেবে।
মঙ্গলবার বাহরাইন সফরের সময়,রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ কিয়েভ এবং পশ্চিমের উপর এর দায়িত্ব অর্পণ করেন।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো "রুশ জাহাজের জন্য তাদের বন্দর বন্ধ করে, এবং রসদ ও আর্থিক যোগাযোগ ব্যাহত করে, অনেক কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করেছে।"
[ এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া ]