তুরস্কের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব এশিয়ান সাগরে গ্রীসের সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কের নেতৃত্বে যে উস্কানি দেয়া হচ্ছে, তারই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে গ্রীস।
গ্রীক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন সূত্রগুলি বলছে, সামরিক গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করেছে। গোয়েন্দারা তথাকথিত হাইব্রিড হুমকির সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে যে, গ্রীস তার প্রতিবেশী তুরস্কের মুখোমুখি হতে পারে। কারণ এই দুই নেটো মিত্রদেশ, এশিয়ান এবং ভূমধ্যসাগরের বিবাদিত অংশে তেল ও গ্যাস খননের অধিকারের জন্য প্রতিযোগিতা করছে।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের আরও অনেক কারণ রয়েছে।
সূত্রগুলি বলছে, তুরস্ক থেকে উদ্বাস্তুর আগমনের আকস্মিক বৃদ্ধি অথবা এজিয়ান সাগরের দুর্গম স্থান বা দ্বীপগুলিতে অপ্রত্যাশিত দাবানল থেকেও সংকট দেখা দিতে পারে।
এজিয়ান এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের অধিকার নিয়ে কয়েক দশক ধরে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তারা একটি তীব্র অস্ত্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও আটকে আছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই দুই দেশ অন্যান্য নেটো সদস্য রাষ্ট্রের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে। .
নেটো জোটে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনা রয়েছে তুরস্কের।
গত সপ্তাহে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছিলেন, তিনি গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন।
অন্যদিকে, মিৎসোটাকিস সতর্ক করেছেন, তুরস্ক থেকে যে কোনও গুরুতর হুমকির জবাব দেওয়া হবে। বরং ইউরোপীয় সমর্থন পাবার জন্য,তিনি প্রধান ইউরোপীয় নেতাদের সাথে দেখা করছেন, তাদের কাছে উদ্বেগজনক গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং যেগুলোকে গ্রীস তুরস্কের উস্কানি বলে মনে করে তার একটি তালিকাও উপস্থাপন করেছেন।
মিৎসোটাকিস বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো যখন জুনের শেষের দিকে একটি শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবে, তখন তিনি তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানানোর জন্য তাদের উপর চাপ দেবেন।
সামরিক কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত, গ্রীসের সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক অবস্থায় থাকবে।