বাংলাদেশে, খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৩ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৩৫ টাকা থেকে এক হাজার ২৪২ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ, লিটার প্রতি ৭ টাকা ২৩ পয়সা দাম কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজির অন্যান্য কন্টেইনারও নতুন দামে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটর গাড়ির জন্য অটো গ্যাসের দাম ৬২ দশমিক ২১ টাকা থেকে কমিয়ে, প্রতি লিটার ৫৭ দশমিক ৯১ টাকা করা হয়েছে।
তবে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত। আর, এর বাজার-শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৩৯ টাকা (১২ কেজি) হয়ে যায়।
এই বছরের জানুয়ারিতে, ১২ কেজি এলপিজির দাম সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এর দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল।
এলপিজি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, সৌদি সিপি সাধারণত প্রতি মাসের শেষে ঘোষণা করা হয়, পরের মাসে এটি কার্যকর করার জন্য। বাংলাদেশে জ্বালানির চালান আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রাইভেট কোম্পানি, সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের বাল্ক এলপিজি আমদানি করে এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করে।
হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলার জন্য, গণশুনানির পর ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বিইআরসি খুচরা-স্তরের এলপিজি মূল্য নির্ধারণ করে।