ক্যামেরুনে অবস্থিত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ( সি এ আর) শরণার্থীরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে সেখানে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে দেশ থেকে তারা পালিয়ে যান। ক্যামেরুনে প্রায় ৩লক্ষ সি.এ.আর-এর শরণার্থী রয়েছে যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাঙ্গুই তাদের শহর ও গ্রামগুলতে শান্তি ফিরে এসেছেএমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে শত শত মানুষ তাদের বাড়ী ফিরে যেতে রাজি হয়েছে।
ক্যামেরুনের কর্মকর্তারা বুধবার গাডোবাডজেরের একটি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৩'শ জন সেন্ট্রাল আফ্রিকান শরণার্থী,যারা দেশে ফিরে যেতে সম্মত হন, তাদের মাঝে খাদ্য ও কম্বল বিতরণ করেন।
সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা ৩ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৩০হাজারের বেশী সি.এ.আর. শরণার্থীকে গাডো বাদজেরে এলাকায় আশ্রয় দেয়া হয়।
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী কৃষক রবার্ট বিসা শরণার্থীদের মাঝে একজন যিনি এসপ্তাহে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ফিরে যাচ্ছেন।
২০১৭ সালে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণহারায় এবং যেখানে তার সবজির দোকানটি ধ্বংস করে দিলে বিসা সি.এ.আর. ত্যাগ করেন।
বিসা বলেন, দেশে থেকে সে তার পরিবারের কাছ থেকে বাড়িতে ফিরে যাওয়া আশ্বাস পেয়েছিলেন যে সি.এ.আর.এর দক্ষিণাঞ্চলে তার গ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। তিনি বলেন যে তিনি তার খামারে ফিরে যেতে চান এবং সেখানে তিনি মটরশুটি এবং চিনাবাদাম চাষ করতে চান।
ক্যামেরুনের কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলছে, আড়াই হাজার শরণার্থী এ বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে যেতে সম্মত হয়েছেন।এদের বেশীর ভাগ হচ্ছেন নারী ও শিশু।
তবে ইউএনএইচসিআর-এর ক্যামেরুনের প্রতিনিধি অলিভিয়ার বিয়ার বলেছেন, ক্যামেরুনের বেশিরভাগ শরণার্থী এখনওস্বদেশে ফিরে যেতে অনিচ্ছুক।
বিয়ার বলেন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল সে কারণে বেশিরভাগ শরণার্থী স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। তবে তিনি বলেন, কিছু শহর ও গ্রামে সি.এ.আর. এর সামরিক বাহিনী দ্বারা শান্তি বজায় রাখা হচ্ছে।