পুলিশ জানিয়েছে যে হামলাকারীরা লক্ষ্য স্থির করেই বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একজন হিন্দু ব্যাংক ম্যানেজার এবং একজন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে, পুলিশ এই জঙ্গিদের ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জঙ্গি হিসেবে দায়ী করেছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চাদুরা শহরের কাছে একটি ইট কারখানায় জঙ্গিরা দুই হিন্দু শ্রমিককে গুলি করে আহত করে। তাদের একটি হাসপাতালে নিলে,সেখানে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে আসা একজন শ্রমিক মারা যায়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার, দিনের আরও আগের দিকে, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা দক্ষিণ কুলগাম জেলায় ব্যাংক ম্যানেজার বিজয় কুমারকে গুলি করে হত্যা করে। ভারতের রাজস্থান রাজ্য থেকে আসা কুমার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর একটি হাসপাতালে মারা যান।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে একজন মুখোশধারী আততায়ী ব্যাংকে ঢুকেছে এবং হ্যান্ডগান বলে মনে হচ্ছে এমন একটি অস্ত্র দিয়ে কুমারের উপর গুলি ছুঁড়ছে ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে টার্গেট করে এরকম হত্যার ঘটনা বেশী ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আর ঘটনাগুলো ঘটছে যখন ভারতীয় সৈন্যরা ভিন্নমত এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সমগ্র অঞ্চল জুড়ে তাদের বিদ্রোহ দমন অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যা সমালোচকরা একটি সমরবাদী নীতির সাথে তুলনা করেছেন।
মঙ্গলবার, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, কুলগামেই, রজনী বালা নামে এক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকাকে গুলি করে হত্যা করে।
সেই হত্যাকাণ্ডের পর, হিন্দু সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে, সরকারের কাছে তাদের কাশ্মীর থেকে হিন্দু-অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চলে নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তরের দাবি জানায়। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে এই অঞ্চলে স্বাভাবিকতা প্রদর্শনের জন্য সরকার তাদেরকে "বলির পাঁঠা" এবং এই সংঘাতে অপচয়যোগ্য করে রেখেছে। তারা স্লোগান দিচ্ছে যে "একমাত্র সমাধান হ'ল স্থানান্তর" ।