বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ, আইপিইএফ-এর সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা এবং ডিকার্বনাইজেশন পিলারের অতিরিক্ত তথ্যকে স্বাগত জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত, দ্বিতীয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক বৈঠকে, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ তার সমুদ্র সম্পদ টেকসইভাবে অন্বেষণ এবং ‘নীল অর্থনীতি’র আরও বিকাশের জন্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডব্লিউ ফার্নান্দেজ আলোচনায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এক ডজন প্রাথমিক অংশীদারের সঙ্গে আইপিইএফ চালু করেছেন। বিশ্ব জিডিপির ৪০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করা দেশগুলো হলো, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক পরামর্শের পর, শুক্রবার (৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উভয় দেশই একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছে।’নিউইয়র্ক ও ঢাকার মধ্যে বিরতিহীন ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়টির উচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বাংলাদেশ আহ্বান জানিয়েছে।
উভয় পক্ষই এটিকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে, পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়েছে।