অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের জেলেন্সকি বললেন, “বিজয় আমাদেরই হবে”


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে পাওয়া ভিডিও থেকে নেয়া এই ছবিতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে ধেকা যাচ্ছে , জুন ২, ২০২২ , কিয়েভ , ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে পাওয়া ভিডিও থেকে নেয়া এই ছবিতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে ধেকা যাচ্ছে , জুন ২, ২০২২ , কিয়েভ , ইউক্রেন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার বলেন, “বিজয় আমাদেরই হবে”। ঐ দিন ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সংঘাত ১০০তম দিনে প্রবেশ করে।

কিয়েভে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে ধারণ করা এক ভিডিওতে জেলেন্সকিকে দেখা যায়। তার আশেপাশে সেই কর্মকর্তারাই ছিলেন যারা ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ আরম্ভ হওয়ার দিনে প্রকাশিত একই রকম আরেকটি ভিডিওতেও ছিলেন।

তারপর, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে ইউক্রেনে এক “বিশেষ সামরিক অভিযানের” ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ ছিল। বাইডেন বলেন, “রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের মানুষজনের উপর এক নিষ্ঠুর আক্রমণ আরম্ভ করেছে, উস্কানি ছাড়া, ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া, প্রয়োজন ছাড়া।”

এপ্রিল নাগাদ রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভ থেকে পিছু হটতে শুরু করে। তবে তারা ভয়াবহ এক চিত্র পেছনে রেখে যায়। বুচার মত শহরগুলোতে অগ্রসর হওয়া ইউক্রেনের বাহিনী বেসামরিক মানুষের গণকবরের সন্ধান পায় এবং রুশ সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত অত্যাচার ও ধর্ষণের ব্যাপক প্রমাণ পায়। রাশিয়া দাবি করে যে প্রমাণগুলো সাজানো ছিল।

বুচায় গণকবর পরিদর্শনকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন যে, বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, “এগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং বিশ্ব এগুলোকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিবে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত ৫,৩০০ কোটি ডলারের সামরিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে।

অপরদিকে, অনেক দশক ধরে নিরপেক্ষ থাকা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে নেটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০ দিন: সাহসিকতা ও নিষ্ঠুরতা

এরই মধ্যে যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন থেকে শরণার্থীদের ঢল নামে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ প্রতিবেশি দেশগুলোতে পালিয়ে গিয়েছে এবং আরও ৮০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেনের ভেতরেই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান সামরিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে, মে মাসের শুরুর দিকে ক্রেমলিন তাদের বাহিনীগুলোকে পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস অঞ্চলে পাঠায়। সেখানে লুহানস্ক ও ডনেটস্ক অঞ্চলগুলোর দখল নিতে নতুনভাবে আগ্রাসন শুরু করে তারা। ২০১৩ সালে রাশিয়া জোরপূর্বক ক্রাইমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই, ঐ দুই অঞ্চল রুশপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে লড়াই চলছে। লুহানস্ক এর গভর্নর শুক্রবার জানান যে, রাশিয়া পূর্বাঞ্চলের সিভিরোডনেটস্ক শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রুশ বাহিনী ডনব্যাসজুড়ে স্থিরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

XS
SM
MD
LG