যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক রাইয়ান কফম্যান (২৭)। তিনি তার এলাকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসেন।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার তরুণী সাইদা ইসলাম (২৬)। তিনি ঢাকার দনিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। ২০১৯ সালে তার বাবা মারা যান। এরপর থেকে তিনি ঢাকা থেকে গাজীপুরে নানার বাড়ি চলে যান। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর (২০২০ সালে) স্নাতক পাস করেন।
কনে সাইদা ইসলাম জানান, “প্রায় এক বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। এরপর দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে, গত ১ জুন তাদের বিয়ে হয়।”
সাইদা, গাজীপুর নগরের ভোগড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে। কনের নানা মোশারফ হোসেন, তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী, দুজনের বিয়ে আর বিদেশি পাত্রের আচার-ব্যবহার নিয়ে দারুণ খুশি। গোটা এলাকায় তাদের নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রাইয়ান বলেন, “বাঙালিরা খুবই অতিথি পরায়ণ। বাংলাদেশে আসার পর দেখছি আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক।”
ভাঙা ভাঙা বাংলাও বলতে পারেন রাইয়ান।
তারা দুজনেই জানান, ‘২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইদার পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় তারা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করেন। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে, তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেন। এ ভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ের মাধ্যমে প্রেমের পরিণতি ঘটে।