ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রোকে ব্যাপক ভর্ৎসনা করেছেন। এর আগে ম্যাঁক্রো বিশ্বশক্তিগুলোকে ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে “অপদস্ত” না করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে করে সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা বজায় থাকে।
শনিবার কুলেবা টুইটারে লেখেন, “রাশিয়াকে অপদস্ত না করার আহ্বান একমাত্র ফ্রান্সকেই অপদস্থ করতে পারে এবং অন্য সে সকল দেশকে যারা এমন আহ্বান করবে। কারণ রাশিয়া নিজেই নিজেকে অপদস্থ করেছে।” তিনি আরও লেখেন, “আমাদের সবার বরং এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ যে কিভাবে রাশিয়াকে তাদের অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া যায়। এটা শান্তি বয়ে আনবে এবং জীবন রক্ষা করবে।”
এর আগে শুক্রবার ম্যাঁক্রো আঞ্চলিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “আমাদের রাশিয়াকে অপদস্থ করা যাবে না, যাতে করে যেদিন লড়াই বন্ধ হবে, সেদিন আমরা কূটনৈতিক পন্থায় [পরিস্থিতি] থেকে বেরিয়ে আসার একটা রাস্তা তৈরি করতে পারি।” তিনি এও বলেন যে, ফ্রান্স গুরুত্বপূর্ণ এক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই ম্যাঁক্রো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে আলোচনা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে, ইউরোপের পূর্বাঞ্চল এবং বল্টিক কিছু সহযোগী বারবারই তার এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে পুতিনকে চাপ প্রয়োগ করে আলোচনায় বাধ্য করার পথে ম্যাঁক্রোর এমন পদক্ষেপগুলো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আক্রমণের পর থেকেই ম্যাঁক্রো নিয়মিতভাবে পুতিনের সাথে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি করে একটি বিশ্বাসযোগ্য আলোচনা আরম্ভ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সেটি করা হয়।
ফ্রান্স ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেছে। তবে এখন পর্যন্ত, ম্যাঁক্রো কিয়েভ সফর করে ইউক্রেনকে অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের মত প্রতীকি সমর্থন প্রদান করেননি। ইউক্রেন চেয়েছিল তিনি এমনটা করুক। তবে, ম্যাঁক্রো জানিয়েছেন যে সফরের সম্ভাবনা তিনি একেবারে বাতিল করে দেননি।